ছুটির দিনে দর্শনার্থীর ভীড় নতুন অতিথি জলহস্তির আবাস্থলে

দর্শনার্থীর ভীড় চিড়িয়াখানার নতুন
অতিথি জলহস্তির আবাস্থলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার ছুটির দিনে মেহেরিমা নুরাইন (১২) বাবা মায়ের সাথে ঘুরতে এসেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। এসেই বরাবরের মত সে ছুটে যায় বাঘের খাঁচার সামনে। কিন্তু একটু পরেই চোখ পড়ে বাঘের খাঁচার বিপরীতে আরেকটু সামনে অন্য একটি খাঁচা ঘিরে দাঁড়িয়ে আসে অনেকগুলো মানুষের দিকে। কৌতুহলবসত সেখানে ছুটে যায় মেহেরিমা। এখানে নতুন একটি প্রানী দেখে সে বেশ উৎফুল্ল হয়ে উঠে। বাবা থেকে মোবাইলটা নিয়ে ছবি তোলার চেস্টা করতে থাকে। শুধু মেহেরিমাই নয়, গতকাল শুক্রবারে চিড়িয়াখানার ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল চিড়িয়াখানায় আসা নতুন অতিথি জলহস্তির দিকে। প্রাণীটি দেখতে তার আবাস্থলের দুই পাশে ভীড় করে আছে প্রায় শতাধীক দর্শনার্থী। এমন উপর থেকে প্রাণীটির ছবি তুলছে, ভিডিও করছে দর্শনার্থীরা। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ সাদা বাঘসহ বাঘের খাঁচা হলেও গতকাল চিত্র ছিল তার উল্টা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল জলহস্তির খাঁচার সামনে। বিপরীতে, অন্য প্রাণীদের খাঁচার সামনে প্রায় ফাঁকা ছিল।
মেহেরিমার বাবা মজুমদার আলম শেখ বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। তবে আগে থেকে জানা ছিল না এখানে নতুন প্রানীটির কথা। দেখে ভালো লাগছে চট্টগ্রামের এ চিড়িয়ানায় অনেক নতুন নতুন প্রাণীর সংযোজন হচ্ছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য চিড়িয়াখানাটি অতুলনীয়। এখানে আরো কিছ নতুন প্রাণী আসলে চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য আরো বাড়বে। এই যেমন জিরাপ, গন্ডার এমন বিরল প্রাণীগুলো থাকলে আরো ভালো লাগবে।
মৌসুমী বড়–য়া নামের আরেক অভিভাবক বলেন, কালকে খবরে দেখেছি চিড়িয়াখানায় এ প্রাণীটি এসেছে। আমার দুই ছেলে তখনই বায়না ধরে তারা দেখতে যাবে। তাই আজ (গতকাল) শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় আর দেরি না করে তাদের নিয়ে দেখতে আসি। ভালো লাগছে চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানাটি বিরল সব প্রাণীতে সেজে উঠছে। ধারাবাহিকতা বজায়ে থাকলে এটি বাংলাদেশের সেরা চিড়িয়াখানাতে পরিণত হবে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার ছুটির দিনে যেমন দর্শনার্থী হয় আজও তাই হয়েছে। তবে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের বেশি দেখা যায় জলহস্তির খাঁচার সামনে। সারাদিনই সেখানে ভীড় ছিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *