নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় সব মানুষেরই পছন্দের একটি খাবার ছোলা। খেতেও বেশ সুস্বাদু। শুধু খেতে মজা তা নয়, এটি মানব শরীরের জন্য উপকারি বিভিন্ন পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায় ছোলা। এটি আমিষ, আঁশ বা প্রোটিনসহ কিছু ভিটামিন এবং মিনারেলের একটি ভাল উৎস। রোজা ছাড়াও যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁরা ছোলা খেতে পারে।
রমজান মাসে সারাদিন রোজার পরে ঘাটতি পূরণ করে ছোলা। তাছাড়া ছোলা দেহকে দৃঢ ও শক্তিশালী করে। হাড়কে করে মজবুত এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলা স্বাস্থ্যকর। যারা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য বেশ কার্যকরী পথ্য হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা আঁশ শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজের চমৎকার উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত ছোলা খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। তাছাড়া ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁঁকি কমিয়ে দেয়। এবং এতে থাকা পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করে। ছোলার খাদ্য-আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ক্যান্সার রোধ করে।: এতে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলিক এসিড থাকায় কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ফলিক এসিড রক্তের এলার্জির পরিমাণ কমিয়ে এ্যজমার প্রকোপও কমায়। এছাড়া যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে।