নবযাত্রা ডেস্ক
জীবিত তিমির চেয়েও বেশি বিপদ ডেকে আনে একটি মৃত তিমি। প্রশ্ন হতে পারে, যে তিমি মরে গিয়েছে, যার শরীরে কোনও সাড়া শব্দ নেই, তাকে ভয় কীসের? কারণটা কী জানেন? মৃত তিমির দেহ যে কোনও সময় বিস্ফোরিত হতে পারে। এমনটা হবার কারণ কী? যখন কোনও তিমি মরে যায়, তখন তার ভিতরে রক্ত চলাচল ও শ্বাসক্রিয়া থেমে যায়। আর এর ফলে তিমির দেহের ভিতরে থাকা অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য বাইরে বেরিয়ে আসার কোনও জায়গা পায় না। দেহের কোষগুলোতে এক ধরনের অ্যাসিডিক অবস্থা তৈরি হয়। অর্থাৎ দেহের ভিতরে কোষগুলো তাদের প্রকৃত গঠন হারিয়ে ফেলে। আর কোষগুলো দুর্বল হয়ে যায়। এমনটা হওয়ায় শ্বসনতন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পিউট্রেফ্যাকশন। আর এর ফলে তিমির দেহের ভিতর প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রোজেন জমা হয়। গ্যাসগুলো মৃত দেহের অভ্যন্তরে বাড়তেই থাকে। আর একটা সময় পড়ে মৃত তিমির দেহটা বিস্ফোরিত হয়ে যায়। বিস্ফোরণের আগে তিমির দেহের ভিতরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। এমনকি তা বেরিয়ে আসার জন্য কোনও বড় ছিদ্রও থাকে না। তাই চাপ আরও বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে সমস্ত গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় এই ধরনের বিস্ফোরণ ঠেকাতে তিমির শরীর কেটে ফেলা হয়। তবে কখনও কখনও এই পদ্ধতিও বিপজ্জনক হতে পারে। তিমির শরীরের মাংস বের হয়ে কয়েক মিটার দূরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এর শরীর কাটার সময় অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। একই সঙ্গে তিমির দেহে বিস্ফোরণের আগে তিমির দেহের ভিতরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়। এমনকি তা বেরিয়ে আসার জন্য কোনও বড় ছিদ্রও থাকে না। তাই চাপ আরও বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে সমস্ত গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় এই ধরনের বিস্ফোরণ ঠেকাতে তিমির শরীর কেটে ফেলা হয়। তবে কখনও কখনও এই পদ্ধতিও বিপজ্জনক হতে পারে। তিমির শরীরের মাংস বের হয়ে কয়েক মিটার দূরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এর শরীর কাটার সময় অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। একই সঙ্গে তিমির দেহে উৎপন্ন গ্যাস মানুষের ক্ষতি করতে পারে। সে কারণেই একটি জীবিত তিমির চেয়ে একটি মৃত তিমি বেশি বিপদজ্জনক বলে মনে করা হয়।