নবযাত্রা প্রতিবেদক
পাঁচ সর্ত পূরণ করতে পারলেই প্রশিক্ষণ শেষে যুবউন্নয়ন থেকে ঋণ পাচ্ছে প্রশিক্ষনার্থীরা। তবে এ পাঁচ সর্ত পুরণে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশিক্ষার্থীরা। তাই প্রশিক্ষণ শেষে মূলধনের অভাবে অনেকেই লক্ষে পৌঁছাতে পারছেন না বলে জানা যায়।
যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে ১৫টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এগুলো হলো, কম্পিউটার বেসিক এন্ড আইসিটি এপ্লিকেশন কোর্স, প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স, মর্ডাণ অফিস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটার এপ্লিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাইজওয়্যারিং, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং, পোশাক তেরী, বøক বাটিক, বেকারি এন্ড কনপেকশনারি, রান্নাবিষয়ক, গবাদি পশু এবং হাস মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, নেটওয়ার্কিং, ফিল্যান্সিং এন্ড আউটসোসিং, মোবাইল সার্ভিসিং এন্ড রিপেয়ারিং কোর্স এবং বিউটি ফিকেশন। এরমধ্যে যেকোনো একটি কিংবা একাধিক প্রশিক্ষণ শেষে সর্ত পুরণ সাপেক্ষে ৬০ হাজার টাকা থেকে ক্যাটাগরি অনুযায়ী তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারে একজন ঋণ গ্রহণকারী।
সংস্থার দেয়া তথ্যে দেখা যায় পাঁচটি সর্ত হচ্ছে, ঋণ গ্রহণকারিকে অবশ্যই সেই জেলার স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে। একজন সরকারি চাকরিজীবীকে গ্যারান্টেড করতে হবে। ঋণ গ্রহণকারীকে তার জায়গার দলিল দেখাতে হবে। যদি স্থানীয়, তবে জায়গা নেই এমন হয় তাহলে তার নিজ এলাকার কোনো এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কিংবা কোনো সরকারি চাকরিজীবীকে গ্যারান্টেড করে সে টাকা নিতে পারবে।
যুব উন্নয়নের উপপরিচালক প্রজেশ কুমার সাহা বলেন, যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যারা ঋণ নিতে চায় তাদের আমরা ঋণ দিচ্ছি। কারণ আমরাও চাই দেশের বেকারত্ব কমে যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে। তবে এক্ষেত্রে তাদের কিছু সর্তপুরণ করতে হচ্ছে। এটি একজন সঠিক উদ্যোক্তা তৈরিতে সহযোগিতা করে। সরকারের দেয়া টাকাটা ভুল পথে যেন নষ্ট না হয় এ কারণে আমরা কিছু তথ্য খুজি। সরকার একজনকে সফল করে একই টাকা দিয়েই অন্যদের সফল করছে। তাই টাকাগুলো যদি ভুল হাতে চলে যায় তবে এ টাকা আর ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। যে জন্য ঋণ গ্রহণকারিকে উপরে উল্লেখিত সর্তগুলো পূরণ করতে হয়। আমরা যত সম্ভব সহজভাবে ঋণ প্রার্থীকে ঋণ দিতে চেষ্টা করি। তবে এক্ষেত্রে জেলায় বসবাসরত অন্য জেলার বাসিন্ধারা শুধু প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। ঋণটা তার নিজ এলাকায় থেকে নিতে হবে।