নবযাত্রা প্রতিবেদক
বই জ্ঞানের আলো ছড়ায়। কথায় আছে, একটি বই ১শ’টি ভালো বন্ধুর সমান। তাই বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে আর কোনো বন্ধুর প্রয়োজন হয় না। বই উজাড় করে বিলিয়ে দেয় তার সকল জ্ঞানগর্ব। কিন্তু আমাদের বর্তমান প্রজন্ম বই পড়া থেকেই বিমুখ। আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে তারা এখন কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তারা এখন বই পড়ে না বললেই চলে। পড়লেও এক রকম বাধ্য হয়ে পড়েন একাডেমিক বই। কিন্তু এমন সময়ের মধ্যেও বই পড়ার একটি সুন্দর নিয়ম চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। যা তাদের ট্রেনিংয়ের একটা অংশ ছিল। তবে করোনার কারণে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বই পড়ার এ নিয়ম।
বিশ্ব সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের আয়োজিত বই পড়ার এ নিয়ম আর চালু হবে কি না এ বিষয়ও জানা নেই বলে জানায় প্রাইমারি টির্চাস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের সুপারিনটেনডেন্ট রওশন আক্তার জাহান।
প্রাইমারি টির্চাস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সুপারিনটেনডেন্ট রওশন আক্তার জাহান বলেন, আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বই পড়ার উৎসাহ দিতে বছরে ২০টি বই পড়ার নিয়ম চালু ছিল। এটি করোনার কারণে সারাদেশের ৬৭টি পিটিআই সবগুলোতেই এখন বন্ধ আছে। এরমধ্যে চালু হবে কি না এখনি বলা যাচ্ছে না। তবে এটি চালু না থাকলেও বিকল্প হিসেবে এখনো আমাদের লাইব্রেরি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডিপিএড প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বছরে বিখ্যাত লেখকদের ২০টি সাহিত্য পড়তে হয়। সেই বই থেকে নেয়া হয় পরীক্ষা। এতে যারা ভালো নম্বর পেতেন তাদের পুরস্কৃত করতো বিশ্ব সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র।
রওশন আক্তার জাহান বলেন, প্রাইমারি টির্চাস ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউট থেকে প্রতি বছর প্রায় ২৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক ট্রেনিং নিয়ে থাকে। তাদের ট্রেনিংয়ের অংশ হিসেবে বিশ্ব সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের বিখ্যাত লেখকদের ২০টি বই প্রদান করা হয়। যা তাদের পড়তে হয়। সেই বইয়ের উপরে এক বছর পর প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের পরীক্ষা দিতে হয়। ২০ নম্বরের পরীক্ষায় পাশ নম্বর ১০। যারা ভালো নম্বর পায় তাদের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র পুরস্কৃত করে।