নবযাত্রা প্রতিবেদক
মটর শুটি খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। সাধারণত এটি শীতকালে পাওয়া যায়। এটি একটি এক বর্ষজীবী উদ্ভিদ যার। এটি ডাল জাতীয় উদ্ভিদ। এই ডাল জাতীয় খাবার মটরশুঁটি মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের জন্য আরো বেশি উপকারিতা মটরশুঁটি। তাই সকলের উচিৎ প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় মটরশুঁটি রাখার অভ্যাস করা। মটরশুঁটিতে ফ্যাট এবং ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। তাই বেশি খেলেও কম ক্যালোরি পাওয়া যায় ফলে কম ক্যালোরিতে অধিক সময় পেট ভরিয়ে রাখা যায়। এটি অধিক খাবারের চাহিদা থেকে দূরে রাখে। ওজন কমাতেও এটি খুবই সহায়ক। পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। মটরশুটিতে কেমোস্ট্রোল নামক পলিফেনল রয়েছে যেটি ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই সহায়ক। তাই পাকস্থলীর সুস্থতায় মটরশুটি খাওয়া খুবই জরুরি। মটরশুটিতে রয়েছে অনেক অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট যা দেহের অনেক খারাপ বিক্রিয়া প্রতিরোধ করে। ফলে অনেক কঠিন রোগ থেকে বাচায় মানব শরীরকে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল যেমন-আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার ইত্যাদি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে মটরশুটি। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট যেমন ফ্ল্যাভানয়েডস, ক্যাটেসিন, এপিক্যাটেসিন, ক্যারোটিনয়েডস যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে এবং বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। মটরশুটিতে ভিটামিন-কে রয়েছে যা বাতের ব্যাথা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই বাতের ব্যথা প্রতিরোধে মটরশুটি খুবই সহায়ক। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে মটরশুট খুব ভালো কাজ করে। এতে রয়েছে অতিরিক্ত ফাইবার এবং প্রোটিন যেটি গøকোজের পরিপাক হওয়ার সময় বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এটি কোনো অতিরিক্ত চিনি বহন করে না এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। চুল পড়া রোধে করে। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। কারণ এতে উচ্চমানের ফাইবার রয়েছে। তাই এটি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ফলিক এসিড যা বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই মটরশুটি রাখা উচিত তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।