নবযাত্রা প্রতিবেদন
ডিউটি শেষ হওয়ার ৬ ঘন্টা পরও বন্ধুকে ভিডিওকলে আগুনের ভয়াবহতা দেখানোর জন্য সেখানে থেকে যান আফজাল। ১০ মিনিট কথোপকথনের পরই ঘটে বিস্ফোরণ। এরপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তার। পরে রবিবার (৫ জুন) সকালে পরনের জামা দেখে মৃত বন্ধুকে শনাক্ত করেন আকাশ।
আকাশ বলেন, আনুমানিক ১০টার দিকে আমাকে ইমোতে ফোন দেয়। বলে, দেখ আগুন জ্বলছে। প্রায় দশ মিনিট ধরে কথা হয় তার সঙ্গে। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনা যায়। এরপরই আর তার শব্দ পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া মিলেনি। রবিবার সকাল থেকে খোঁজাখুঁজির কিছুক্ষণ আগে তার পরনের জামা দেখে শনাক্ত করা হয়।
আফজালের মেজ ভাই সজল জানান, নিবার থেকে একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছিলাম না। নগরের সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছি। পরে মর্গে এসে মরদেহের সন্ধান মিলেছে। আমার ভাইকে এভাবে হারবো কখনো ভাবিনি। তার চেহারা চেনা যাচ্ছে না। পরনের জামা দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডিউটি শেষ হয়েছে সেই চারটায়। কিন্তু আগুন দেখতে রয়ে গেছেন ডিপোতে।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাসিন্দা আফজাল তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। প্রতিদিন কাজ শেষে তিনি বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু আজ সকালে তিনি নিথর দেহে ফিরেন চমেক হাসপাতালের মর্গে।
2 Attachments