শিশুদের নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই — জেলা প্রশাসক

চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে বিশ্ব শিশু অধিকার সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান

নবযাত্রা প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেছেন, “নতুন প্রজন্মের শিশুরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। কোমলমতি শিশুদের নিয়ে আমরা কোনোভাবে অবহেলা করতে চাই না। তাদের নিয়ে আমরা বাসযোগ্য সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।”


আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিশু একাডেমি আয়োজিত বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ–২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “প্রত্যেক শিশুর প্রতি আমাদের আন্তরিক হতে হবে। কোনো শিশু যেন আনন্দ ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। পাশাপাশি তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি নীতি–নৈতিকতা শেখাতে হবে, যাতে তারা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে।”

দিবসের প্রতিপাদ্য

‘শিশুর কথা শুনব আজ, শিশুর জন্য করব কাজ’ — এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা শিশু একাডেমির যৌথ উদ্যোগে।

অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং পুরস্কার বিতরণী। তবলা প্রশিক্ষক পলাশ কুমার দেবের পরিচালনায় তবলা লহর, নৃত্য প্রশিক্ষক ফজলে আমিন শাওনের নির্দেশনায় দলীয় নৃত্য, আর সঙ্গীত প্রশিক্ষক মিলন কান্তি মজুমদার ও লিটন কান্তি সেনের তত্ত্বাবধানে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

এছাড়া শিশু একাডেমির শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

অতিথিদের উপস্থিতি ও বক্তব্য

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ উদ্দিন।
সঞ্চালনায় ছিলেন প্রশিক্ষক তানভীরুল ইসলাম নাহিদ।


বিশেষ অতিথি ছিলেন—

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহমুন নবী,

এনজিও ইলমা’র প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু,

বনফুলের নির্বাহী পরিচালক রেজিয়া বেগম,

স্বপ্নীলের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শিকদার।

শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির আবৃত্তি বিভাগের শিক্ষার্থী সামন্ত বড়ুয়া ও অধরা রোদসী চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে মোছলেহ উদ্দিন বলেন, “শিশুদের বৈষম্যমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বেড়ে উঠার সুযোগ দিতে হবে। প্রত্যেক শিশুর নেতৃত্ব বিকাশে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা শিশুর কথা শুনব, মানবিক বাংলাদেশ গড়ব—এটাই আমাদের লক্ষ।

সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ

সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে সহযোগিতা করেছে—

ওয়ার্ল্ড ভিশন (কর্ণফুলী এরিয়া প্রোগ্রাম), ইপসা, মমতা, ঘাসফুল, কারিতাস, ব্র্যাক, কিডস কালচারাল ইনস্টিটিউট, বনফুল, কোডেক, অপরাজেয় বাংলাদেশ, প্রত্যাশী, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম, উষা নারী উন্নয়ন সংস্থা, সংশপ্তক, ইকো ফাউন্ডেশন, টিআইবি, এসওএস শিশু পল্লী, স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেশন, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, ইলমা, দৃষ্টি ও ভোরের আলো।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *