২টি কলা খেলেই ৯০ মিনিট কাজ করার শক্তি যোগায়

নবযত্রা প্রতিবেদক


শরীরে শক্তি বাড়াতে কলা ধারুণ উপকারি। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন শুধুমাত্র ২টি কলা খেলেই ৯০ মিনিট কাজ করার শক্তি পাওয়া যায়। আবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় পেশি নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়।

কলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ফল। যা সারা বছর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের কলার চাষ হয়। এর মধ্যে অমৃতসাগর, সবরি, চম্পা, কবরী, মেহেরসাগর, বারি কলা-১, বারি কলা-৩, বারি কলা-৪ জাতগুলো বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। কলা নামে বিভিন্ন প্রকারের হলেও সব একই পুষ্টিগুণে ভরা। এফল কাঁচা ও পাকা দু’ভাবে খাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের ভয়ে অনেকে খেতে চান না। তবে এর পাকা বিচি প্রচুুর পরিমাণে শর্করা থাকে। যা শক্তির অন্যতম উৎস। বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন-এ, বি-৬, সি এবং ডি এর একটি অসাধারণ উৎস। কলায় একজন মানুষের দৈনিক প্রয়োজনের ২৩% পটাশিয়াম পুরণ করে। শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় বি-৬’এ ৪১% থাকে ও প্রচুর লৌহের উৎস।

ঔষধিগুণ: কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন ও ফসফরাস থাকে। যা শরীরে স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠন করে। গাছের সব অংশের ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। ফুল ব্রংকাইটিস, আমাশয় এবং আলসার, রান্না করা ফুল ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। গাছের কষযুক্ত রস হিস্টেরিয়া, কুষ্ঠ, জ্বর, রক্তক্ষরণ বন্ধ, স্থায়ী আমাশয়, ডায়রিয়া রোধে সহযোগিতা করে। গাছের শিকড় পরিপাকজনিত সমস্যা এবং আমাশয় দূর করে। কলার বীজের মিউসিলেজ ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রন করে। সম্পূর্ণ পাকা কলার খোসা ও পাল্পে ছত্রাক বিরোধী ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলি পাওয়া যায়। কাঁচা অবস্থায় খোসা ও পাল্পের দ্বারা তৈরি ছত্রাকনাশক টমেটোর ছত্রাকজনিত রোগ দমনে ব্যবহৃত হয়। কলার ভুয়া কাÐের ভেতরের কোনও অংশ থেকে প্রস্তুত রস কিডনি ও মূত্রাশয়ের পাথর দূরীকরণে উপকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *