নিজস্ব প্রতিবেদক
বাঁশের কোড়ল হল বাঁশগাছের কচি কান্ড মুকুল। বাঁশের কোড়ল বা ব্যাম্বু শুট পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠির একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সবজি যার বহুবিধ ঔষধীগুণ রয়েছে।
কোলেস্টেরল কমায়- বাঁশ কোড়লে প্রচুর পরিমানে তন্তু বা ফাইবার থাকায় এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। হার্টের রোগীদের জন্য উপকারী। এতে উপস্থিত ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট হার্টকে সুস্থ্য রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরলকে রক্তে দ্রবিভূত হতে দেয় না। এছাড়া পটাশিয়াম হার্টবিট স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। ওজন কমাতে সহায়তা করে। ক্যালোরি ও ফ্যাটের পরিমান অত্যন্ত কম ও তন্তুর পরিমান বেশি থাকায় যারা নিজেদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার। এতে উপস্থিত তন্তু পেট ভর্তি রাখে আর খিদে কমায়। ক্যানসার প্রতিরোধের সহায়তা করে। এতে উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এন্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, যা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এতে উপস্থিত সামান্য পরিমান ক্লোরোফিল কোশের মিউটেশনে বাঁধা দিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধ করে। বাঁশের কোড়ল সবজি হিসেবে নিয়মিত খেলে এটি শরীরের যে কোন অংশের প্রদাহ কমাতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা ভাইরাসের আক্রমণ জনিত প্রদাহ কমে যায় এটি নিয়মিত ডায়েটে রাখলে। কোষ্ঠো কাঠিন্য দূর করে- এটি বৃহদন্ত্র থেকে মুত্র নির্গমন সহজ করে কোষ্ঠোকাঠিন্য দূর করে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এতে থাকা বিভিন্ন প্রকারের খনিজ ও ভিটামিন। শ্বাস প্রশ্বাসের প্রদাহ জনিত রোগ প্রশমন করে। বাঁশ কোড়ল সেদ্ধ করা জলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে গলা বসা বা ব্যাথায় আরাম পাওয়া যায়। এটি হজমশক্তি বাড়ায়। ক্ষত তাড়াতাড়ি ভালো করে। ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া হাঁপানি, ডায়াবেটিস, তীব্র জ্বর, মূর্ছা যাওয়া, মৃগী রোগ ইত্যাদি নিরাময়ে যথেষ্ট উপকার করে বাঁশ।
উল্লেখ্য, সদ্য অঙ্কুরিত কচি বাঁশকে বলা হয় বাঁশ কোড়ল। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকাগুলোতে এটি খাওয়া হয় বেশি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মেঘালয়, আসাম, হিমালয় অঞ্চলে, নেপাল, ভুটান, কোরিয়া, চিন, জাপানেও বেশ জনপ্রিয় এই বাঁশ কোড়ল।