শিল্পকলায় বিশ্ব সঙ্গীত দিবস পালন গানের সুরে শুরু হলো সঙ্গীত সন্ধ্যার আসর

নবযাত্রা প্রতিবেদক
‘শ্রাবনের মেঘগুলি জড়ো হলো আকাশে/ অঝরে নামবে বুঝি শ্রাবনেই ঝরায়ে’। এমনই রোমান্টিক গানের সুরে সুরে শুরু হলো সঙ্গীত সন্ধ্যার আসর। একে একে চট্টগ্রামের শিল্পীরা পরিবেশন করেন আধুনিক বাংলা গানের লহর। পুরোনো দিনের সেই গানগুলো একাগ্রচিত্তে অডিটরিয়ামে বসে উপভোগ করেন উপস্থিত এক শতাধিক দর্শক।


গতকাল শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এমনই উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্টিত হয়েছে বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে অনুষ্টিত ‘সঙ্গীত সন্ধ্যা’। বিশ্ব সংগীত দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ ও চট্টগ্রাম সঙ্গীত সংগঠন মোর্চার সমন্বিত সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়। এসময় বিকাল সাড়ে ৪টায় একটি বর্ণাড্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রাম প্রাঙ্গন হতে ওয়াসা মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে আবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এরপরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পূর্ব এবং কথামালা পর্বের শুরু হয়। বিশিষ্ঠ নজরুল সঙ্গীত গবেষক ও বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলার সভাপতিত্ব মুখ্য আলোচক ছিলেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও গবেষক অধ্যক্ষ শিলা মোমেন। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ, চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রীতা দত্ত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়ন্তী লালা, চট্টগ্রাম সঙ্গীত সংগঠন মোর্চার আহ্বায়ক সংগীত শিল্পী কল্পনা লালা, চট্টগ্রাম জেলা কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগীত শিল্পী দীপেন চৌধুরী। এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৮২ সালে ফরাসি মন্ত্রী জ্যাকল্যাং সর্বপ্রথম বিশ্বসঙ্গীত দিবস পালনের প্রস্তাব করেন এবং ১৯৮৫ সালের ২১ জুন প্রথম সমগ্র ইউরোপ ব্যাপী এবং পরে সারা বিশ্বব্যাপী এই সঙ্গীত দিবস পালন হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এই দিবসটি মহাসমারোহে পালনের যে ঐতিহ্য তৈরী হয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর উদ্যমী আগ্রহ ও আন্তরিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় ও সাড়ম্বরে এই দিবসটি পালিত হয়।
বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী অভিন্ন ও মানবতা এবং ঐকতানের যে ভাষা তা হলো সঙ্গীতের সুরের ভাষা। এই ভাষাকে তথা সঙ্গীতকে সামাজিক ভাবে প্রতি ঘরে ঘরে চর্চার প্রসার ও প্রচারের মাধ্যমে অন্ধকার সমাজকে আলোকিত করতে হবে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সঙ্গীত দল, সঙ্গীত ভবন, চট্টগ্রাম সঙ্গীত সংগঠন মোর্চা, আর্য্য সঙ্গীত সমিতি, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম, অভ্যুদয়, নজরুল সংগীত শিল্পী সংস্থা- চট্টগ্রাম, অদিতি সংগীত নিকেতন-চট্টগ্রাম, উদীচী চট্টগ্রাম। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় করেন, সংগীত শিল্পী শীলা দাস গুপ্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *