অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাত!

নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া

বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-উপজাতি সম্প্রদায়সহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে আসছে। সকল ধর্ম-বর্ণ-গৌত্রের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অন্যের সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসে; হাসি-আনন্দে সবাই একসাথে জীবনযাপন করে।

১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির ২৪ বছর পর দ্বিজাতি তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে দুটি সাম্প্রদায়িক  রাষ্ট্র ভারত-পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম হয় অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি নতুন পতাকা, নতুন মানচিত্রের পাশাপাশি একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন ছিল সবার। ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’- এ ধারণার ভিত্তিতেই রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে এমন প্রত্যাশাই ছিল।

কিন্তু কিছু কুচক্রীমহল নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধার করতে মাঝে মাঝে এই ভূখণ্ডের সুখের সংসারে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ঢেলে প্রাণপ্রিয় দেশটাকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সংঘাত দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে। অতি সম্প্রতি নড়াইলে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সবাইকে ব্যথিত করেছে। নড়াইল জেলার লোহাগড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকানপাট, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ। আসলে নড়াইলের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এর আগেও আমরা এ ধরনের সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন দেখেছি। এমন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা বারবার ঘটতে দেখা যায়। গতবছর কুমিল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজামণ্ডপে প্রতিমার কোলে দুর্বৃত্তের রাখা কোরআন শরীফ অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আগুন জ্বলে উঠে। পাঁচদিনের আনন্দঘন উৎসবের তৃতীয় দিন থেকে জ্বলতে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আগুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে উস্কানিমূলক ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দিতে তৎপর হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী গোষ্ঠী। ফলে দ্রুতই দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দেয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-সহিংসতা। এর ফলে কুমিল্লা ছাড়াও চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু উপজেলায় হামলা চালিয়ে লুটপাটসহ ১২টি বৌদ্ধ মন্দির ও ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রসরাজ নামে এক হিন্দু মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে লোকজনকে খেপিয়ে তুলে ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়।

২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া কক্সবাজারের রামু, পাবনার সাঁথিয়া, কুমিল্লার হোমনা, যশোরের মালোপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, বরিশালের বানারীপাড়া, নেত্রকোনার কলমাকান্দা, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ কিংবা গতবছর হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় কুমিল্লা, নোয়াখালী, রংপুর, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঠিক যেভাবে হামলা হয়েছে; এবারের হামলাও তার ব্যতিক্রম ছিল না। ঘটনার সূত্রপাত সেই ‘ধর্ম অবমাননাকারী ফেসবুক পোস্ট’ দেওয়ার কথিত অভিযোগ। 

গত কয়েক বছরে সংখ্যালঘুর ওপর যে ক’টি হামলা হয়েছে, এর প্রায় সব ক’টিই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে। আজকে প্রযুক্তির কল্যানে কে স্ট্যাটাস দিয়েছে তার আইডি  মুহূর্তে বের করা সম্ভব হলেও কথিত ধর্ম অবমাননার এসব ক্ষেত্রে অদ্ভুত নিষ্ক্রিয়তা দেখা যায়। অথচ সরকারের সমালোচনা করে কেউ স্ট্যাটাস দিলে দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১ যুগ ধরে ঘটে চলা ঘটনার কোনোটিরই সুরাহা হয়নি আজ অবধি। এখন পর্যন্ত একটিরও সুষ্ঠু তদন্ত আর বিচার না হওয়াই খুলে দিয়েছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। প্রতিটি ঘটনায় বসতভিটা, দোকান, ঘরে থাকা টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকার সব হারিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়। আতঙ্কিত হয়ে নীরবে চোখের জল ফেলেছে; বাপ-দাদার ভিটা ফেলে দেশ ছেড়েছে তারা।  যতদিন সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার না হবে; যতদিন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকারের লক্ষ্যবস্তু থাকবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, ততদিন এই ঘটনাগুলো ঘটতে থাকবে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে টানা ১৪ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করা দল রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার পরও কেন সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন? কেন সাঁওতালপল্লিতে আগুন দিয়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে? আসলে ধর্মীয় উগ্রবাদ সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ঘটনায় বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ ও হতাশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে যে রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছিল স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সে রাষ্ট্রটি সাম্প্রদায়িক দর্শন ও চিন্তা-চেতনা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যদি এ ধরনের বর্বরতা দেখতে হয়, তাহলে হতাশ না হয়ে উপায় নেই।

উনিশ শতকেও উপমহাদেশে প্রচুর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় সংঘটিত হয়েছিল এক ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। জার্মানিতে ইহুদিদের প্রতি আক্রমণ, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চালিত হত্যাকাণ্ড, ভারতে বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া এবং আসামে বাঙালিদের প্রতি আক্রমণ ছিল বড় ধরনের সাম্প্রদায়িকতার নজির। সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে উপমহাদেশে বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে হিন্দুত্ববাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

ভারত-বাংলাদেশের ঘরে আজ যে আগুন লেগেছে, তার পেছনে রয়েছে ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বিস্তার ও স্বার্থপরতার রাজনীতি। এরই সুযোগ নিয়েছে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল, যার সঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে।

কেবল ধর্মকে পুঁজি করে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি অশুভ শক্তির দ্বারা বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত নিপীড়িত হয়ে আসছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। মূলত নিজ ধর্মের পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় এই সংঘাত হয়। কেউ একজন ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার সঙ্গে সঙ্গে সেই ধর্মের অনুসারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব, হামলা করব- এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার করে ধর্মের ব্যাপারে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অন্য ধর্মকে কটাক্ষ করে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। এসব কারণে কারও কারও মধ্যে উগ্রবাদ তৈরি হচ্ছে। ব্রেইনওয়াশ করে তরুণ সমাজের একটি অংশকে জঙ্গিবাদে ধাবিত করা হয়েছে। এই জঙ্গিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এমনকি আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যও দেখা গেছে।

একটি সংঘবদ্ধ চক্র ঠান্ডা মাথায় এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে যা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। অপরাধের কঠোর শাস্তি হলেই এসব অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে। বিচারহীনতায় এসব অপকর্মের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।গুজব রটিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য হামলার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। হামলাকারীদের পাশাপাশি উস্কানিদাতাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে যারা ধর্মীয় উন্মাদনার নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তারা আমাদের সভ্যতা-সংস্কৃতির শত্রু। তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে অপরাধী, দাঙ্গা সৃষ্টিকারী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীর কোনো ধর্ম নেই। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র সব ছাপিয়ে আমাদের ‘মানুষ’ হতে হবে। যার মধ্যে মানবিকতা আছে, মূল্যবোধ আছে, যার মননে মানবধর্মের প্রতিপালন হয়, যার কাছে মানুষ পরিচয়ই মুখ্য-সে কখনো অন্যকে বা অন্যের ধর্মকে অবমাননা করতে পারে না, অন্য ধর্মের মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালাতে পারে না, অন্যের প্রতি সে সহিংস হতে পারে না।

একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে ধর্মকে অবমাননা করার কোনো সুযোগ নেই। নিজ ধর্মকে বুকে ধারণ করে সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানোই অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা। 

সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের পেছনে নোংরা রাজনীতি কাজ করছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে। ছোট থেকেই শিশুদের মাঝে সম্প্রীতির শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো শিশু যেন ধর্মীয় উগ্রবাদে দীক্ষিত না হতে পারে সেটাও রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকরা এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে আমরা সবাই একই রক্ত–মাংসে গড়া মানুষ; একই রাষ্ট্রের নাগরিক; সবার অধিকারও সমান। 

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে যেসব সাম্প্রদায়িক সংঘাত ঘটেছে, তাতে জানমালের ক্ষতি যতটুকু না হয়েছে; বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে আরও বেশি। এসব আক্রমণের শিকার হয়েছে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। বিচারহীনতা বা বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রতা দুস্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।

বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ প্রকৃতপক্ষে সব ধরনের উগ্রতার বিরুদ্ধে। আমাদের উচিত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া- বাংলাদেশ কখনোই সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেবে না এবং সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেওয়া যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে দ্রুত, কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। নিজ ধর্মের বাইরে অন্যের ধর্ম বা আচার-আচরণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। এ ধরনের মন্তব্য চোখে পড়লে দ্রুত তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আনতে হবে। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের বড় দায়িত্ব রয়েছে। 

তাই সম্প্রীতির বাংলাদেশ টিকিয়ে রাখতে আমরা নিরাপদ সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলি, যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ-জাতি-সম্প্রদায়ের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে। আমাদের উচিত দেশের সংকটময় এই মুহূর্তে নিপীড়িত মানবতার পাশে দাঁড়ানো। ‘সংঘাত নয়, সম্প্রতি’ এই হোক আমাদের আহ্বান। 

নিজের ভাষায় বলতে চাই, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান/ রক্তের রঙে নেই ব্যবধান/নামাজ পড়লে হয় মুসলমান / পূজাতে হয় হিন্দু প্রমাণ/গির্জায় গেলে তুমি খ্রিস্টান/প্যাগোডাতে বৌদ্ধ মহীয়ান/যে যেখানে যাও না কেন, মানুষ পরিচয় সবার সমান।/মানব ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম তার উপরে ধর্ম নাই,/ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে কিছুই নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *