আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের কলাকৌশল

নবযাত্রা ডেস্ক


পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। অসচেতনতা ও অবহেলার কারনেই মাছ চাষীরা বিভিন্ন ভুল করে থাকে এবং পরবর্তীতে বহুগুনে ভুলের মাশুল গুনতে হয়। এসব ভুল লাভজনক মাছচাষের ক্ষেত্রে অন্তরায়। এ সকল ভুল বা অনিয়ম থেকে রক্ষা পাবার জন্য মাছ চাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে জেনে মাছ চাষ শুরু করা উচিৎ।

নিচে মাছ চাষের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপত্র নিয়ে আলোচনা করা হলো:

মাছ চাষের উন্নত কলাকৌশল ও সঠিক পরিকল্পনা
মাছ চাষ শুরু করার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা করা । মাছ চাষ শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে। যেমন-

১। কোন জাতের মাছ চাষ করবেন
২। কতদিন মেয়াদে মাছ চাষ করবেন
৩। বাজারজাত করার সময়
৪। মোট কত টাকা ব্যায় হতে পারে
৫। টাকা ব্যায়ের সংস্থান কিভাবে করবেন

এসকল বিষয়ে আগে থেকে পূর্ব পরিকল্পনা না করলে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। এর ফলে প্রত্যাশিত উৎপাদন ব্যহত হয় এবং বাজেট ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে চাষী লাভের পরিবর্তে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে থাকে।

পুকুর খননে সঠিক ধারনা থাকতে হবে
পুকুর খননের আগে যে বিষয়গুলো আপনার খেয়াল রাখতে হবে-

১।পুকুর যে জায়গায় হবে তার পরিবেশ
২।অবকাঠামো
৩।বর্ষায় বন্যার হুমকি
৪।শুষ্ক মৌসুমে পানি কতটা থাকে
৫।পানি কমে গেলে বাহির থেকে পানি দেওয়ার ব্যাবস্থা আছে কিনা
৬।পুকুর পাড়ের ঢাল ও বকচর
৭।পানির গভীরতা কেমন থাকবে

পুকুর খননের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলো আগে থেকে বিবেচনায় না নিলে পুকুর খনন করাই ভুল হয়ে যাবে। এজন্য একজন অভিজ্ঞ মৎস্য চাষী ও মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নেয়া দরকার।

সঠিকভাবে পুকুর প্রস্তুত করা
মাছ চাষ শুরু করার আগে অবশ্যই সঠিক নিয়মে পুকুর প্রস্তুত করতে হবে। বিজ্ঞান ও পরিবেশ সম্মতভাবে পুকুর তৈরি করা হলে মাছ চাষের প্রস্তুতির এক তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়ে যাবে। পুকুর প্রস্ততের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলো ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে সেগুলো হলো-
১। ভালোভাবে পুকুর শুকিয়ে নেওয়া
২। রাক্ষুসে মাছ নিধন করা
৩। নিরাপদ পানি সরবরাহ করা
৪। পুকুরে চুন/জিওলাইট প্রয়োগ করা
৫। পানিতে প্রাকৃতিক খাবার জম্মানোর ব্যবস্থা নেওয়া
৬। পুকুরে পানির জোগান ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা

উপরোক্ত বিষয়গুলোতে অবহেলা করা হলে পরবর্তীতে নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।

সঠিকভাবে পোনা নির্বাচন করা
পোনার জাত ও মান সঠিকভাবে নিশ্চিত করা না গেলে উৎপাদন ব্যহত হয়ে থাকে। মানসম্মত ব্রুড থেকে উৎপাদিত এবং একই সাইজের/বয়সের রোগমুক্ত পোনা সংগ্রহ করতে হবে। অনভিজ্ঞ এবং অদক্ষ হ্যাচারি টেকনিশিয়ানরা মাছ চাষীদের প্রতারিত করে থাকে, তা থেকে চাষীদের নিরাপদে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে পোনা ভালো হলে সুস্থ ও বড় সাইজের মাছ পাওয়া যাবে।

পোনা পরিবহন ও অবমুক্তকরণে সজাগ থাকতে হবে
মানসম্পন্ন পোনা সংগ্রহ ও সঠিক নিয়মে পরিবহন করার পর যথাযথভাবে পুকুরে পোনা ছাড়তে হবে। কেননা অনেক সময়ই পরিবহন জনিত ত্রুটির কারণে ব্যপকহারে পোনা মারা যায়। তাৎক্ষনিকভাবে মারা না গেলেও পোনা এতই দুর্বল থাকে যে দু-এক দিনের মধ্যে অনেক পোনা মারা যায়। এ কারনে পোনা পরিবহন ও পোনা ছাড়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

পোনা সঠিক ভাবে নার্সিং করা
হ্যাচারী থেকে পোনা সংগ্রহ করার পর পোনা ছাড়ার উপযোগী থাকে না। তাই ছোট পোনা সরাসরি চাষ পুকুরে না ছেড়ে পোনা ভাল ভাবে নার্সিং করতে হবে। নার্সিং করার পরে পোনা বড় ও টেকসই হলে গণনার মাধ্যমে মজুত পুকুরে পোনা দিলে ভাল হয়। মজুতকৃত পুকুরে পোনা দেওয়ার পর পরবর্তীতে খাবার ব্যবস্থাপনা ও অনান্য ব্যবস্থাপনার দিকে ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

পোনা মজুতে সংখ্যা ঠিক রাখা
অনেক চাষীই নিজের ইচ্ছামতো পুকুরের জায়গার তুলনায় অধিক পরিমানে পোনা ছাড়েন। তাদের ধারনা পুকুরে যতবেশি পোনা ছাড়া হবে ততবেশি উৎপাদন হবে। তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। পুকুরে কতগুলো পোনা ছাড়া যাবে তা নিন্মোক্ত বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে-
১। পুকুরে কি পরিমান জায়গা আছে
২। মাছ চাষের ধরন কি
৩। পুকুরের অবকাঠামো কেমন
৪। পুকুরে পানি দেওয়া ও পানি নিষ্কাশন করার সুবিধা কেমন
৫। মাছের খাবারের ধরন
৬। মাছ চাষের মেয়াদ
৭। কি জাতের মাছ

উক্ত বিষয়গুলো পর্যালোনা করে পোনা মজুতের পরিমান নির্ধারন করতে পারলে চাষী লাভবান হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। বেশি পোনা না ছেড়ে পরিমিত পরিমানে পোনা ছেড়ে অধিক উৎপাদন নিশ্চিত করাটাই হচ্ছে গুরুত্বপুর্ণ।

মিশ্রচাষে জাত নির্বাচনে দক্ষ হতে হবে
মিশ্রচাষ বলতে একই সাথে অনেক জাতের মাছ চাষ করাকে বুঝায়। মিশ্রচাষের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। পুকুরে পানির স্তরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে । সব স্তরে একই রকমের মাছ থাকে না। আর এ কারনেই মিশ্রচাষে প্রজাতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপরের স্তর, মধ্যস্তর ও নিম্নস্তরের বিষয়টি বিবেচনা করেই প্রতেকটি স্তর সঠিক ভাবে ব্যবহারের জন্য মাছের প্রজাতি নির্বাচন করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় চাষীরা কোন একটি স্তরের মাছ অধিক ছাড়ে অথচ অন্য স্তরের উপযোগী মাছ ছাড়েন না, যার ফলে চাষী ভাল ফলাফল পান না । তাই প্রতিটি স্তর ব্যবহার করার জন্য আনুপাতিক হারে মাছ ছাড়তে হবে। পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় এমন প্রজাতির মাছ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। যেমন নিচের স্তরের বিশেষ করে মৃগেল, মিররকার্প, কার্পিও এই ধরনের মাছ। পোনা ছাড়ার সময় পুকুরে আনুপাতিক হারেই পোনা ছাড়তে হবে। একই সাথে মৃগেল ও গলদা চিংড়ি ছাড়া যাবেনা। মৃগেল ও গলদা চিংড়ি একসাথে ছাড়া হলে গলদা চিংড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আবার মিশ্রচাষে রাক্ষুসে স্বভাবের মাছ ছাড়া যাবেনা, রাক্ষুসে মাছ ছাড়া হলে অন্য মাছ খেয়ে সাবাড় করে ফেলবে। তাই রাক্ষুসে মাছ না ছাড়াই ভালো।

পানির গুনাগুন রক্ষার উপায় জানা দরকার
মাছ চাষ করার জন্য পানির গুনাগুন রক্ষা করাটা জরুরী। মাছ চাষ করতে গেলে পানির যে স্থিতিমাপ রয়েছে তা জানতে হবে। পানির পিএইচ, ক্ষারত্ব, দ্রবীভুত অক্সিজেন, অ্যামোনিয়া প্রভৃতির আদর্শ মাত্রা রয়েছে। পানির এ মাত্রা অতিক্রম করলে বা অস্বাভাবিক ভাবে কমবেমি হলেই বিপত্তি। মৎস্য চাষীরা পানি মাপা মেশিনের ( Test Kit ) মাধমে উপরোক্ত মাত্রা পরিমাপ করে পানির গুনাগুন জানতে পারেন এবং অভিজ্ঞ মৎসচাষীরা করনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। আর এ কারনেই প্রতেক চাষীদের একটি করে টেস্ট কিট রাখা অতি জরুরী। পানির স্থিতিমাপ দক্ষতার সাথে রক্ষা করতে পারলে মাছ চাষকালীন সময়ে নানান সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

মানসম্মত খাবার দেয়া আবশ্যক
মাছের খাবার অবশ্যই গুনগত ও মানসম্পন্ন হতে হবে। কারন লাভজনক মাছ চাষের জন্য অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে মানসম্মত খাবার দেয়া। মাছ চাষে মাছের খাদ্য সরবরাহে ৭০% এর বেশি অর্থ খরচ হয়ে থাকে। অভিজ্ঞ মাছ চাষীরা নিজেরা খাবার তৈরি করে মাছকে দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির খাবার পাওয়া যায়। খাবার সঠিক পুষ্টিমান সম্পন্ন এবং মাছের বয়স ও আকার অনুযায়ী সরবরাহ করতে হবে। পরীক্ষাগারে খাদ্য পরীক্ষার মাধ্যমে খাদ্যের সঠিক পুষ্টিমান সমন্ধে জানা যায়।

পরিমিত হারে খাবার দিতে হবে
মাছকে কম খাবার দিলে যেমন প্রত্যাশিত উৎপাদন পাওয়া যায় না । তেমনি বেশি করে খাবার দিলেও একজন চাষী অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এতে করে খাবার ও অর্থ দুইটাই অপচয় হয়ে থাকে এবং পানি দূষিত হয়ে মাছ মারা যেতে পারে। এ জন্য মাছের গড় ওজন, সংখ্যা ও পানির গুনাগুন জেনে সঠিক পরিমানে খাবার সরবরাহ করা দরকার।

নিয়মিত খাবার দেয়ার বিকল্প নেই
মাছ চাষে কাঙ্ক্ষীত সাফল্য পেতে হলে নিয়মানুযায়ী নিয়মিত খাবার সরবরাহ করতে হবে। ইচ্ছামত অসময়ে খাবার দিলে মাছের সুষম বৃদ্ধি হয়না এবং অনেক ক্ষেত্রে খাবারের অপচয় হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় অর্থাভাবে চাষী মাছ চাষের মাঝামাঝি সময়ে খাবার দিতে ব্যর্থ হয় যার করণে চাষী লাভবান হতে পারে না। আবার নিয়মিত খাবার দেয়ার পাশাপাশি মাছ খাদ্য খাচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। ।

নিয়মিত ওজন পরীক্ষা করতে হবে
মৎস চাষীকে খাবারের পরিমাণ নির্ধারনের জন্য ১০/১৫ দিন পর পর মাছের গড় ওজন নেয়া আবশ্যক। নিয়মিত মাছের ওজন না নিলে একজন চাষী বুঝতে পারেন না যে কি পরিমানে মাছের বৃদ্ধি হচ্ছে, সেটা সন্তোষজনক নাকি হতাশাব্যঞ্জক। তাই একজন চাষীকে ১০/১৫ দিন পরপর মাছের গড় ওজন নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

স্বাস্থ্য পরিচর্যা
মাছ চাষীর বড় কাজ হল মাছের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষন করা। মাছের দেহে অস্বাভাবিক লক্ষণ বা ক্ষত হলে সাথে সাথে একজন মৎস বিশেষজ্ঞ বা মৎস কর্মকর্তার শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা । চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করা জরুরী। এতে মাছ চাষী ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। বাজারে নানা ধরনের ঔষধপত্র এবং পুষ্টি পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, চাষীরা এগুলো ব্যবহার করে স্বাস্থসম্মত চাষ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সুবিধা পেতে পারেন।

সঠিক পরিমাণে সার দেয়া
মাছ চাষে পুকুরের পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে জৈব ও অজৈব সারের ভূমিকা অনেক । কিন্তু দেখা যায় কেবল মাত্র সার প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক চাষী মাছ চাষ করতে চান। তাদের ধারণা সার প্রয়োগ করলে আর কোন প্রকার সম্পূরক খাবার দিতে হবেনা। আর এ ধারনা থেকেই তারা পুকুরে অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করে বিপদ ডেকে আনে। অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করলে পানিতে প্লাংকটন বুম বেশি হয়ে যায় ও সমস্যার সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে পুকুরের পানি নষ্ট হয় এবং পুকুরে গ্যাস তৈরি হয় ও মাছ মারা যায়। কেবল মাত্র প্রয়োজন হলেই সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করা উচিত অন্যথায় সার দেওয়া উচিত নয়।

পোলট্টি লিটার বা বিষ্ঠা ব্যবহার অনুচিত
অনেক চাষী মনে করেন পোল্ট্রির বিষ্ঠাতে খাদ্য মান রয়েছে, আর এ চিন্তা থেকেই তারা পোল্ট্রি লিটারকেই কেবল মাত্র মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু পোল্ট্রি লিটার ব্যবহারের কারণে মৎস চাষীগণ নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। পোল্ট্রি লিটারে অনেক সময় কাঠের গুড়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা মাছ খেয়ে পুষ্ট হয় না এবং তা থেকে বদহজম হয়ে মাছের পেট ফুলে মারা যায়। একইভাবে লিটারে শুধু তুষ থাকার কারনে একই সমস্যা হয়ে থাকে। অধিক পরিমানে পোল্ট্রি লিটার পানির গুনাগুন নষ্ট করে। পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কারণে অনেক মাছ মারা যায় এবং পানির গুনাগুন রক্ষা করতে গিয়ে ঔষধপত্র কিনতে হয় এতে করে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। পোল্ট্রি লিটারের মাধ্যমে মাছে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যায় যেটা স্বাস্থসম্মত নয়। উন্নত দেশের পাশাপাশি আমাদের দেশেও এন্টিবায়োটিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর একারণে চাষীদেরকে সস্তায় লাভের মানসিকতা পরিহার করে পোল্ট্রি লিটার মাছ চাষে ব্যবহার করা থেকে ফিরে আসতে হবে।

সঠিক নির্দেশনায় ঔষধপত্র ব্যবহার
বর্তমানে আধুনিক মাছ চাষে নানান সমস্যা সমাধানের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পণ্য এবং ঔষধপত্র পাওয়া যায়। নানা কোম্পানী নানা পণ্য বাজারজাত করছেন। অনেক সময় সঠিক ব্যবহার বিধি না জানার ফলে সঠিক মাত্রায় ব্যাবহার না করার কারণে চাষী সুফল পাচ্ছে না । এ কারনেই চাষীর উচিত সঠিক মাত্রা এবং প্রয়োগ বিধি অবশ্যই মেনে চলা ও মাছ চাষের উন্নত কলাকৌশল জানা। তাহলে চাষী সুফল পাবেন।

পুকুরে একাধারে মাছ ধরা
কয়েকদিন পরপর পুকুরে জাল টানার কারনে মাছ আঘাত পাপ্ত হয় এবং খাদ্য গ্রহন বন্ধ করে দেয়। এতে মাছের ওজন কমে যায় এবং আঘাতজনিত কারনে কিছু সংখ্যক মাছ মারা যেতে পারে। এ কারণে একটানা কয়েক দিন মাছ না ধরে বিরতি দিয়ে মাঝে মাঝে মাছ ধরা উচিত।

আহরিত মাছ পরিবহনে সমস্যা
মাছ ধরার ৮/১০ ঘন্টা আগে থেকে খাবার দেওয়া বন্ধ করতে হবে তাহলে ধৃত মাছ অধিক সময় জীবিত থাকে। মাছ চাষীরা মাছ চাষের সময় একটু সতর্ক হলে এবং চাষ করার সময় প্রতিটি ধাপে দক্ষতার পরিচয় দিলে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে নিশ্চিত লাভবান হবেন।

একজন মাছ চাষী যদি উপরের বিষয় গুলো ভালভাবে মেনে চলে তাহলে সে কখনও ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। তাই একজন মাছ চাষীকে মাছ চাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে জানতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *