নবযাত্রা প্রতিবেদক
ইদের পোশাকে এবারও তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে রেডিমেট কুটি স্টাইলের গারারা, সারারা নামের ভারত-পাকিস্তানি পোশাকগুলো। বেশ কয়েক বছর ধরেই ইদের বাজারে তরুণীদের কাছে এইসব দেশের তৈরি পোশাকের কদর বেড়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রোজার মাঝ সময়ে এসে তরুণীরা রেডিমেট এসব পোশাক কিনতে ভীড় করছেন নগরীর বিভিন্ন শপিংমলে। এবার ইদকে কেন্দ্র করে নগরীর জিইসি এলাকার অভিজ্যত শপিংমল ইউনুস্কো শপিং সেন্টারের প্রেম’স কালেকশন এনেছে এক্সক্লুুসিভ ডিজাইনের ভারত-পাকিস্তানি পোশাক। চট্টগ্রামের একমাত্র শাখা প্রেম’স কালেকশনের এ সেন্টারে এক ছাদের নিচে রয়েছে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষের রুচিসম্মত বাহারী সব ডিজাইনের পোশাক। যেগুলো নজর কাটছে ক্রেতাদের। এবার ইদ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু নতুন ডিজাইনের পোশাক এনেছেন। তারমধ্যে উল্লেখ্যযোগ পোশাকগুলো হচ্ছে রেডিমেট কুটি ও কুর্তি স্টাইলের গারারা, সারারা, কটন সিল্কের ওয়ানপিস, টু-পিস, গুজরাটি কাজের মধ্যে মিরর বসানো, মসলিন, মাসালাইস, ক্রেপ, সিকুয়েন্স কাপড়ে পোশাকগুলো।
সরেজমিনে খো যায়, প্রেম’স কালেকশনের এসব পোশাকগুলো ২ হাজার থেকে শুরু করে লাখের উপরে রয়েছে। প্রতিটি পোশাকই মানের দিকে উন্নত। পোশাকে রয়েছে নতুনত্ব। এবার ইদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এ পোশাকগুলো। ১৫ রোজা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে এখানে বিক্রয় কর্মীরা। সন্ধ্যার পরে বাড়ছে ভীড়।
চট্টগ্রাম প্রেম’স কালেকশনের ইনর্চাজ নাজিমুল ইসলাম টিপু বলেন, চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। তারা ভাবছে প্রেম’স শুধু উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য। কিন্তু এমন ভাবনা ভুল। প্রেম’স উচ্চবিত্তের মতই সমানভাবে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের কথাও মাথায় রেখে পোশাক তৈরি করছে। রিজেনেবলের মধ্যেই উন্নতমানের পোশাকগুলো পাচ্ছে ক্রেতারা। এখানে ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি সর্বোচ্চ লাখের উপরে পর্যন্ত পাওয়া যায়। আমরা শুরু উচ্চবিত্তের কথাই চিন্তা করি না। আমাদের কালেকশনে রয়েছে সমাজের বড় অংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণিপেশার মানুষও। তিনি বলেন, এবার ইদ উপলক্ষ্যে আমাদের অসাধারণ সুন্দর কিছু ডিজাইনে কালেকশন এসেছে। যেহেতু এবার গরমে ইদ পড়ছে তাই গরমে আরামায়ক হয় এমন কাপড় ও উপকরণ দিয়ে পোশাক তৈরি করা হয়েছে।
রাজিয়া সুলতানা নামের এক ক্রেতা বলেন, আমার প্রেম’স কালেকশনের পোশাকগুলো বরাবরই ভালো লাগে। আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি তাদেরও ইদ উপলক্ষ্যে পোশাকের বাজেট থাকে ২-৫ হাজার অনেকে হয়তো আরো বেশি। তাই বাইরে না ঘুরে আমি এখানে চলে আসি কারণ এখানের পোশাকগুলোর মধ্যে নতুনত্ব থাকে। তাই পরিবার নিয়ে এখানে পোশাক কিনতে এসেছি। আমি কিছু শাড়ি, লং কামিজ, কুর্তিসহ থ্রিপিস, গারারা ও লেহেঙ্গা কিনেছি। পুরুষ সদস্যদের জন্য পাঞ্জাবি কিনেছি। এখনো বাকি আছে শিশুদের পোশাকগুলো। সব শেষে সেগুলো কিনবো।