বিনোদন প্রতিবেদক
কাজী মারুফ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা।তিনি এখন স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন ।দেশেও আসেন কালে ভদ্রে। অথচ একটা সময় তিনি এফডিসি চষে বেড়িয়েছেন । শুটিং নিয়ে এফডিসির এ ফ্লোর ও ফ্লোর সাভার-গাজীপুর ঘুরেছেন। সেই মারুফ আজ শুটিং করছেন না।
কিন্তু মারুফ ইন্ডাষ্ট্রিতে না থাকলেও তার প্রতি ভক্তদের আগ্রহ একটুও কমেনি । তার প্রমাণও পাওয়া গেলো সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ফিল্ম ফ্যাক্টরী ইন নিউইয়র্ক’ থেকে লাইভে এলে তার কাছে সাড়ে তিন হাজার ভক্ত জানতে চান কেমন আছেন? তিনি ভালো আছি বলে তাদের প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। তারকাখ্যাতি রেখে কাজী মারুফ কেনো যুক্তরাষ্ট্রে এ প্রশ্ন অনেকেরই কাছে অজানা। সোমবারের ৩৮ মিনিটের সেই লাইভে নিজেই জানিয়েছেন দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার কারণ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা হচ্ছিল না। তেমন কাজ ছিল না। কিন্তু কিছু তো করে খেতে হবে।’
শুধুই যে কাজ না থাকা ও ফিল্ম পলিটিক্সের কারণে দেশ ছাড়েন মারুফ তা কিন্তু নয়। ছেড়েছেন পারিবারিক কারণেও। একবার হাসপাতালে নিজের মেয়ের শরীরে এমনভাবে স্যালাইনের সিরিঞ্জ প্রবেশ করানো হচ্ছিল, সেটা তিনি দেখতে পারলেন না। সেই দৃশ্য দেখে চুপ হয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। সেদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন কী করছেন, এই প্রসঙ্গে ‘ইতিহাস’খ্যাত এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রের “গ্রিন কার্ড” বানাচ্ছি। এখানেও সিনেমা বানাব। আমি এখনো বাংলাদেশি অভিনেতা। এ ছাড়া আমার অন্যান্য ব্যবসা আছে, সেগুলো দেখাশোনা করি।’