নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষিত তরুণরা এখন কৃষি পেশায় ফিরছে। এখনই যদি কৃষি প্রযুক্তিকে স্মার্ট করে তোলা যায় তবে দেশে বেকারত্বের হার কমবে।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর হালিশহর কৃষি তথ্য সার্ভিস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিথিরা একথা বলেন। কৃষি তথ্য সার্ভিস চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়ের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মুকুল চন্দ্র রায়। এসময় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহম্মদ সহিদ উল্লাহ।
প্রধান অতিথি মো. নাছির উদ্দিন বলেন, আমাদের কৃষির জন্য স্মার্ট টেকনোলজির মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন করা দরকার। যেখানে অল্প টাকায় কৃষকরা প্রবেশ করতে পারবে এবং পাবে সব তথ্য। এর জন্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহার করা উত্তম হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া গণমাধ্যমগুলোতে কৃষি সংবাদ খুবই কম ছাপানো হয়। যেহেতু বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ তাই সবরকম গণমাধ্যমকে কৃষি সংবাদের উপর জোড় দেয়া দরকার। এতে কোন মৌসুমে ফসলের জন্য কোন কাজটা করা দরকার এটা কৃষকরা জানবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের যে পরিকল্পনা রয়েছে সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কৃষিকেও স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তরিত হতে হবে। এরজন্য আগে যারা কৃষি অফিসার আছে তাদেরকেও বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে স্মার্ট করে তোলা প্রয়োজন।
সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহন করেন।