নবযাত্রা ডেস্ক
মাদকাসক্তি একটা রোগ। ঘৃণা বা অবহেল নয়, শুধু মাত্র ভালোবাসা ও সুচিকিৎসাই পারে মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সহায়তা করতে। মাদকাসক্তদের ঘৃণা না করে দরকার ভালোবাসা ও সুচিকিৎসা। মাদক প্রতিরোধে পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। যথাযথ পারিবারিক গঠনই পারে যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে। পরিবারের পাশাপাশি সমাজেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মাদক প্রতিরোধ সম্ভব নয়। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল মাদক হতে সুস্থতাপ্রাপ্ত নারী-পুরুষদের অর্থনৈতিক পুনর্বাসনে প্রকল্পের অবহিতকরণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান বিষয়ক অনুষ্ঠানের অয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশকমিশনার (উত্তর) আরাফাতুল ইসলাম, কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মসূচি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন কারিতাস চট্টগ্রামের পরিচালক মি. রিমি সুবাস দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি’র ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজিস্ট মাহজাবিন বিনতে গাফফার, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা। ১৪, ১৭ ও ৩১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ১৬, ২০ ও ৩২ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরগণ, প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা তাহমিনা সানজিদা সাহিদ, বেসরকারি কারাপরিদর্শক ও এ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের কাউন্সিলর শাহজামান।
এসময় অতিথিরা মাদক প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন। মাদক ও ঝুকিপূর্ণ পেশা হতে ফিরে আসা ৬জন নারী ও ৭ পুরুষকে প্রথম কিস্তিতে শর্তহীন ১০ হাজার টাকা করে আয় বৃদ্ধিমূলক কাজের জন্য সহায়তা প্রদান করে।