সন্তান ছেলে-মেয়ে যাই হোক সমান বিনিয়োগ করতে হবে

মাধবী বড়ুয়া
উপপরিচালক
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর

মরিয়ম জাহান মুন্নী

সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে এটা না দেখে তাদের জন্য অভিভাবকের সামর্থ্য অনুযায়ী সমান বিনিয়োগ করতে হবে। একজন ছেলে যেভাবে বড় হয়ে তার পেছনে করা বিনিয়োগ ফেরত দেয় তার চেয়ে আরো অনেক বেশি বিনিয়োগ ফেরত দেয় কন্যা সন্তানরা।

তিনি বলেন, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিয়ে এবং সন্তান জন্মদান। কিন্তু নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় বিয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ একজন ভালো শিক্ষার্থী পড়ালেখায় ভালো হওয়ার পরও পারিবারিক নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। বলা হয় বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে পড়ালেখা করবে। এটি আসলে সম্ভব হয়না বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। কারণ বিয়ের পর একজন নারী স্বামী, সংসার এবং সন্তার সামলিয়ে পড়ালেখা করতে পারে না। এক্ষেত্রে একটা পর্যায় দেখা যায়, তার সেই সাপোর্টি পরিবারই বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এছাড়া এখনো কর্মজীবী নারীদের কর্মক্ষেতে রয়েছে নানা বাধা। একটা পর্যায় গিয়ে নারী মা হতে চাইছেন। তবে সরকারি পর্যায় ছয় মাসের ছুটি থাকলেও বাংলাদেশে এখনো বেসরকারি পর্যায়ে নারীরা মাতৃত্বকালীন ছয় মানের ছুটি পায় না। এটি কোনোভাবেই ঠিক নয়। কারণ একটি দেশেতো আর দুই আইন হতে পারে না। সরকারি বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই নারীদের মাতৃত্বকালীন ছয় মাসের ছুটি তাঁর অধিকার। অথচ দেখা যায় বেসকারি পর্যায়ে গর্বে সন্তান আসলে নারীকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হয়।

এতো কিছুর মধ্যেও নারীরা অনেকটাই এগিয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও নারী বান্ধব। শুধু শহর নয়, গ্রামাঞ্চলেও স্কুল কলেজ ছুটি হলে দেখা যায় ছেলে শিক্ষার্থীদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীই বেশি। তবে নবম থেকে কলেজে উঠলেই পারিপার্শ্বিকতার কারণে মেয়েদেরকে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটি দুঃখজনক। কিন্তুসুযোগ পেলে অনেক ক্ষেত্রে ছেলেদেরও ছাড়িয়ে যেতে পারে নারীরা।

উত্তরণের উপায়: আশপাশের মানুষের কথায় কান না দিয়ে বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে। একজন অভিভাবকই জানেন তার কোন সন্তান কেমন এবং সে কি করতে পারে। সেটি বিবেচনা করে সন্তানকে এগিয়ে যাওয়াতে সহযোগিতা করকে হবে। এছাড়া সব সন্তান যে উচ্চ শিক্ষিত হবে এমনও না। এটি মাথায় রেখে সেই সন্তানের মেধা কোন দিকে বেশি কাজ করে সেটি বিবেচনা করে তাকে সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে হবে। নারীদের পড়াশোনার পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নারী স্বাবলম্বী হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশগ্রহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *